প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৫ ২২:৪০

বগুড়ায় বালিকা বিদ্যালয়ের ছয় বস্তা বই বিক্রির চেষ্টা, নৈশপ্রহরীর পলায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় বালিকা বিদ্যালয়ের ছয় বস্তা বই বিক্রির চেষ্টা, নৈশপ্রহরীর পলায়ন

বগুড়ার সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মোনারুল ইসলাম মোনাইয়ের বিরুদ্ধে ছয় বস্তা বই বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে রিকশাভ্যানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইগুলো নিয়ে যাওয়ার পথে পৌরসভার সামনে জনগণ বইগুলো দেখতে পেলে সন্দেহ করে রিকশাভ্যান থামিয়ে দেয়। পরে মোনারুল ইসলাম পালিয়ে যান, এবং পুলিশ বইগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মোনারুল ইসলাম মোনাই মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিদ্যালয় থেকে ছয় বস্তা বই নিয়ে রিকশাভ্যানে তোলেন। তিনি বইগুলো বিক্রির জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সোনাতলা পৌরসভা এলাকায় আসলে স্থানীয় জনগণ সন্দেহ করে রিকশাভ্যান থামিয়ে বস্তায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই দেখতে পায়। ঘটনাটি প্রকাশিত হলে মোনারুল ইসলাম পালিয়ে যান, এবং পুলিশ বইগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

নৈশপ্রহরী মোনাই এই বিষয়ে ফোনে দাবি করেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম শাহীন তার নির্দেশে বইগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছেন।

এ বিষয়ে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম শাহীন দাবি করেছেন যে, তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমি শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৬ সালে স্কুলে যোগদানের পর থেকেই আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহকর্মীদের রোষানলে পড়েছি। আমাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে, এবং এরই অংশ হিসেবে নৈশপ্রহরীকে দিয়ে বই পাচারের চেষ্টা করা হয়।"

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামকে অবহিত করেছেন এবং ঢাকায় ফিরে আসার পর মামলা করবেন।

সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন্নবী জানান, "ঘটনাস্থল থেকে ছয় বস্তা বই জব্দ করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি।"

এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের সভাপতি, শিক্ষক এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি উঠেছে।

উপরে