প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০০:১০

উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে নাটোর-রাজশাহী অঞ্চলের নিম্ন আয়ের যাত্রী সাধারণ - পুনরায় চালুর দাবি

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর:
উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে নাটোর-রাজশাহী অঞ্চলের নিম্ন আয়ের যাত্রী সাধারণ - পুনরায় চালুর দাবি

পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচলকারী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নাটোর ও রাজশাহী অঞ্চলের হাজার হাজার নিম্ন আয়ের যাত্রী। গত ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করা হয় এই জনপ্রিয় ট্রেনটি, যার ফলে স্থানীয় মানুষের যাতায়াতের অন্যতম সহজ মাধ্যমটি হারিয়ে গেছে। এখন ট্রেনটি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।

উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন ভোর চারটায় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে এসে সান্তাহার জংশন হয়ে আত্রাই, বীরকুটশা, মাধনগর, নলডাঙ্গা, বাসুদেবপুর, নাটোর, ইয়াছিনপুর, মালঞ্চি, আব্দুলপুর এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতো। এরপর দুপুর ১২ টায় রাজশাহী থেকে ফের পার্বতীপুরের দিকে যাত্রা শুরু করতো।

নাটোর, নলডাঙ্গা, মাধনগর, বীরকুটশা এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, ট্রেন বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের যাতায়াতের খরচ এবং সময়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা দেওয়ান ফারুক, ইয়াছিন-উর রহমান, এবং মিজানুর রহমান সহ অনেকেই বলেন, ট্রেন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় অন্য যানবাহনে চলাচল করতে হচ্ছে, যা নিম্ন আয়ের যাত্রীদের জন্য খুবই কষ্টকর। তারা জানান, বীরকুটশা থেকে মাধনগর পর্যন্ত ট্রেনে যাতায়াতের জন্য খরচ ছিল মাত্র ৩০ টাকা, কিন্তু বর্তমানে তাদের ওই একই পথ পাড়ি দিতে ১২০/১৩০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। তাছাড়া, ট্রেনে যাতায়াতের সময়ও অনেক কম ছিল, যা এখন বেড়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে, মাধনগর রেলস্টেশন মাস্টার মো. মমিন উদ্দিন বলেন, “উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চালু করার জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবো।”

এছাড়া, নাটোর, নলডাঙ্গা, মাধনগরসহ এই অঞ্চলের বহু যাত্রী এখনো রেলওয়ের সহজ, সস্তা এবং নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা ফিরে পাওয়ার আশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

উপরে