প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৫ ০০:৪৬

নাগেশ্বরীতে কোরবানির পশুহাট: জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, দাম সহনীয়

উপজেলা সংবাদদাতা, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রামঃ
নাগেশ্বরীতে কোরবানির পশুহাট: জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, দাম সহনীয়

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কোরবানির পশুহাট জমে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা বেশি থাকায় এই সেগমেন্টে ক্রেতারা বেশ উৎসাহী। তবে বড় গরুর বিক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, এবারের কোরবানির পশুর দাম সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বেশ সহনীয় রয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট নাগেশ্বরী হচ্ছে প্রধান বিক্রয় কেন্দ্র। এছাড়াও সাপ্তাহিক দু-তিন দিন পশুর হাট বসছে বিভিন্ন স্থানে।
সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গরু ক্রয়-বিক্রয় চলে এখানে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে চরাঞ্চলের দেশীয় গরু থেকে শুরু করে শাহীওয়াল ও অন্যান্য খামারিদের বিভিন্ন জাতের গরু। তাই ক্রেতারা সুবিধামতো সময়ে এসে পছন্দের পশু নির্বাচন করছেন।
স্থানীয় বিক্রেতারা জানান, এবার পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। অনেক ক্রেতা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবারের গরুর দাম কম। আগাম বাজারে এই সহনীয় দামই ক্রেতাদের ভিড় বাড়িয়েছে।

হাটে শুধু গরু নয়, ছাগল ও মহিষেরও চাহিদা ভালো রয়েছে। ক্রেতারা বিভিন্ন জাতের পশু দেখছেন, দাম যাচাই করছেন এবং পছন্দমতো ক্রয় করছেন।
বৃহৎ গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি থাকায় ক্রেতাদের বেশ আগ্রহ বেশি এই সেগমেন্টে।

বিক্রেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, লালন-পালনে খরচ বেড়েছে, কিন্তু ভালো দাম পাচ্ছেন না। আবার ক্রেতারা কম দামে গরু কিনতে আগ্রহী বলে বিক্রেতারা চিন্তিত।
নাগেশ্বরী প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরু একটু কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যেও হাটে কেনাবেচা ভালোই চলছে।
অন্যদিকে, গরু ও ছাগল বিক্রেতারা বলছেন, তারা সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য পশু লালন-পালন করেন, কিন্তু এবারে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। হাটের শেষ মুহূর্তে দাম কমে যাওয়ায় তাদের মধ্যে ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ নিয়ে চিন্তা কাজ করছে।
তবুও তারা আশা করছেন কোরবানির শেষ পর্যন্ত দাম কিছুটা ভালো হবে।

উপরে