পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা ক্লুলেস মামলার প্রধান আসামি ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার মোঃ নুর ইসলাম (৩১)–কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জে গোপন অভিযানে তাকে আটক করে র্যাব-১২ (সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ) এবং র্যাব-১১ (সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ) এর একটি যৌথ দল।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাখানপুর এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ৬টি গরুসহ এক গরু ব্যবসায়ীকে ডাকাতি করে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল। পরে তারা গাড়িটি নিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম থানাধীন ঝাঐল ব্রিজ এলাকায় পুলিশের একাধিক টহল টিম গাড়িটিকে থামাতে চেষ্টা করে।
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ডাকাতদলের গাড়িটি দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে গেলে, রাস্তার পাশে কর্তব্যরত কনস্টেবলকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে ওই কনস্টেবলকে প্রথমে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে সেখান থেকে ইবনে সিনা হাসপাতাল, ধানমন্ডিতে স্থানান্তর করা হয়। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পর পুরো এলাকায় এবং পুলিশের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে র্যাব। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে গত ২৬ মে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন দেওভোগ বাংলাবাজার এলাকা থেকে মোঃ নুর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার ধাপসুখানগড়ী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র।
র্যাব জানায়, মোঃ নুর ইসলাম একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের পর তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
র্যাব-১২ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অপরাধ নির্মূলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা সর্বদা তৎপর এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনার দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত অব্যাহত থাকবে।