প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫ ০২:৩২

জাপানের এসএমবিসির জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করবে: প্রতিবাদ সমাবেশ

খবর বিজ্ঞপ্তিঃ
জাপানের এসএমবিসির জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করবে: প্রতিবাদ সমাবেশ

জাপানের মেগাব্যাংক সুমিতোমো মিতসুই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এসএমবিসি) বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিশাল পরিমাণ অর্থায়ন করে দেশের অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করছে। মোট ১৮৬ বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগ দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে অবহেলা করে জীবন ও পরিবেশের প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


প্রধান অভিযোগ ও দাবিসমূহ:

এসএমবিসি বাংলাদেশের কয়লা, এলএনজি ও এইচএফও ভিত্তিক প্রকল্পে ২৩৮.৭১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে একটাও প্রকল্পে অর্থায়ন করেনি।

এসএমবিসি অর্থায়িত প্রকল্পগুলো সরকারের ওপর দীর্ঘমেয়াদী ক্যাপাসিটি চার্জ চাপিয়ে দিয়েছে, যা সরকারের বাজেটে বড় বোঝা সৃষ্টি করছে।

সামিট এলএনজি টার্মিনাল ও গাজীপুর-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মাত্র ছয় বছরে সরকার ৬,৩৫৫ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে; মোট চুক্তি মেয়াদে এই পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২০,১২৯ কোটি টাকা।

এসব প্রকল্পগুলো থেকে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, বরং অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা ও কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।


বক্তাদের মন্তব্য:

হাসান মেহেদী (বিডব্লিউজিইডি সদস্য সচিব):

"এসএমবিসি-সমর্থিত প্রকল্পগুলো সরকারের ওপর অতি দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে। এই বিনিয়োগগুলো দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সংকট এবং পরিবেশ দূষণ বাড়াবে।"

এস এম নাজের হোসাইন (আইএসডিই বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক):

"এসএমবিসি জীবাশ্মজ্বালানির অবকাঠামো উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে শুধু জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত করছে না, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থাও বাড়াচ্ছে। এখনই নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি।"


প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন ও অংশগ্রহণ:

চট্টগ্রামে আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন (CLEAN) এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোট (BWGED) যৌথভাবে এক জনসমাগমপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।

সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সমাজকর্মীরা অংশ নেন এবং এসএমবিসিকে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ দিতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।


সারসংক্ষেপ:

এসএমবিসির জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিশাল বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক বোঝা বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ও পরিবেশ দূষণ এই বিনিয়োগের প্রধান নেতিবাচক প্রভাব।
পরিবেশবাদী সংগঠন, নাগরিক সমাজ এবং সংশ্লিষ্টরা এসএমবিসিকে দ্রুত টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে ঝুঁকানোর দাবি জানাচ্ছে।

উপরে