ধামইরহাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় ছোট-বড় অনেক হাট বসলেও সবচেয়ে বড় হাট হলো হাটখোলা সাপ্তাহিক হাট। রবিবার (১ জুন) হাটখোলায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরু ও ছাগলের সরবরাহ যেমন প্রচুর, তেমনি মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতা ও পাইকারদের আগ্রহও বেশি।
পশুর দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহনীয় হওয়ায় আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীদের আগমন বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে উৎসবমুখর দরকষাকষি।
গরু কিনতে আসা লালমিয়া জানান, “এবার সরাসরি হাটে এসে দেখে অবাক হয়েছি। এত গরু হাটে উঠেছে যা কল্পনার বাইরে। মানসম্মত একটি গরু কিনে বাড়ি ফিরতে চাই।”
ব্যাপারী সাকোয়াত হোসেন বলেন, “এই হাট অনেক পুরনো। তবে এবারে ৭০০ টাকা হাসিল দিতে হয়েছে, যা আমার ব্যবসা জীবনে সবচেয়ে বেশি।”
ধামইরহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৩ হাজার ৩২৮টি খামার থেকে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৭৩৩টি গবাদিপশু। জেলার কোরবানির চাহিদা ৪০ হাজার ১৮টি। ফলে ৩০ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানানো হয়।
এর মধ্যে রয়েছে ৭,৮৭৭টি ষাঁড়, ১,৭৭১টি বলদ, ৯,৯৮৯টি গাভি, ৭১৩টি মহিষ, ৪৩,৪৯৪টি ছাগল এবং ৬,৮৮৭টি ভেড়া।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াজেদ আলী জানান, “এবার কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি নেই। পশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হাটগুলোতে মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও সঠিকভাবে জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।”