অপরাধ দমনে নীলফামারী জেলাজুড়ে সেনা চেকপোস্ট স্থাপন

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলায় স্থাপন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করাও এই উদ্যোগের একটি মূল লক্ষ্য।
দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ী চেকপোস্ট
বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এবং সদর উপজেলার চৌরঙ্গী মোড়ে। সেখানে স্থাপন করা হয়েছে স্থায়ী সেনা চেকপোস্ট। প্রতিটি চেকপোস্টে এক প্লাটুন করে সেনা সদস্য ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য চার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে বসানো হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী চেকিং চালানো হচ্ছে।
সেনা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মোস্তফা মজুমদার বলেন, “জেলায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা সর্বক্ষণ জনগণের পাশে রয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারেন, যাত্রী হয়রানি বা গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি না হয় এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কাজ করছে।”
স্থানীয়দের মতামত
সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে সাধারণ মানুষও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “সেনা চেকপোস্ট স্থাপনের কারণে আমরা শ্রমিকরা এবং যাত্রীরা অনেকটাই নিরাপদ বোধ করছি। আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রিত।”
রোটারিয়ান ও সমাজসেবক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন বেশ ভালো। যানজট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারণে আমরা নিরাপদে আছি। এজন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।”
সেনা ক্যাম্পের বক্তব্য
এই বিষয়ে নীলফামারী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. সালমান বলেন, “সত্যিই আমরা জনগণের সেবা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং মানুষকে নিরাপত্তা দিতে আমাদের এ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলবে।”
তিনি আরও জানান, “সকল কাজে আমরা জনগণের সহযোগিতা কামনা করি, কারণ জনগণ ছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব নয়।”