ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটিতে পটুয়াখালীর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের বেলাভূমি, পর্যটকে ভরে গেছে। পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতিতে পুরো কুয়াকাটা এলাকা উপচে পড়ছে। হোটেল-মোটেলগুলো প্রায় পূর্ণ, এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি বেড়েছে।

এছাড়া, গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী ও লেম্বুর বনসহ সকল পর্যটন স্পটেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। পর্যটকরা সৈকত এলাকায় আনন্দে মেতে উঠেছেন। অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়ীতে সাঁতার কাটছেন এবং ঢেউয়ের সাথে খেলছেন। কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে দেখছেন। আবার কেউ বেঞ্চে বসে কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

এই পর্যটক influx এর নিরাপত্তায় প্রশাসন সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

ঢাকা থেকে আসা রুবি-আবির দম্পতি জানান, "আমরা প্রায়ই কুয়াকাটায় আসি। সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা কখনো পুরনো হয় না। এখানে এসে মননশীল প্রশান্তি অনুভব করি। তবে ঈদের ছুটিতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের ব্যাপক আগমন ঘটেছে।"

খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ কালিম বলেন, "এখানে খাবার হোটেলগুলোর মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে এবং দামও বেশ সস্তা। ঈদের ১০ দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় লক্ষ লক্ষ পর্যটক সমাগম ঘটবে।"

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, "ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে আমরা অতীতের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব।"

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, "আমাদের অধিকাংশ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।"

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, "সৈকতের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা, নৌ ও ডিবি পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটকরা নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তাদের সময় কাটাতে পারবেন।"

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক মোঃ ইয়াসীন সাদেক বলেন, "ঈদুল আযহার ছুটিতে প্রচুর পর্যটক আসছেন, এবং সামনের দিনগুলোতে আরও পর্যটক আসবে। কুয়াকাটা পৌরপ্রশাসন পর্যটকদের সেবা দিতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনও এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।"