প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৫ ২২:১১

ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন টাকা লুটপাটের অভিযোগ

উপজেলা সংবাদদাতা, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুরঃ
ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন টাকা লুটপাটের অভিযোগ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক এতিম ও দুস্থ শিশুদের সহায়তায় প্রতিমাসে এক শিশুর জন্য ২,০০০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধনকৃত বেসরকারি এতিমখানাগুলোর নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন এবং ৬-১৮ বছর বয়সী এতিম শিশুদের থাকার শর্তে সর্বোচ্চ ৫০% ক্যাপিটেশন গ্রান্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য মাথাপিছু ২,০০০ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে, যার বিভাজন হলো: খাদ্য বাবদ ১,৬০০ টাকা, পোশাক বাবদ ২০০ টাকা, এবং চিকিৎসা ও অন্যান্য বাবদ ২০০ টাকা

কিন্তু ঘোড়াঘাটে বাস্তব চিত্রটি একদম বিপরীত। সমাজসেবা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়াঘাট উপজেলায় মোট ২৪টি এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসা ক্যাপিটেশন ফান্ড চালু রয়েছে। তবে কিছু মাদ্রাসার অবস্থা নাজুক, এবং সরকারি কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু ব্যক্তির সহায়তায় সরকারী অনুদান আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

বিশাইনাথপুর (ডেওয়াগাড়ী) রাহিলা খাতুন দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর ক্যাপিটেশন ফান্ড পায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী থাকার কথা ছিল ২৮৬ জন। তবে সরেজমিনে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০-৭০ জন। অভিযোগ রয়েছে যে, মাদ্রাসায় যখন কোনো অফিসার পরিদর্শনে আসেন, তখন আশেপাশের গ্রামের কিছু ছাত্র/ছাত্রী এনে একসাথে দেখা করানো হয়। এইভাবে ছাত্র/ছাত্রীদের নামে বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) আত্মসাৎ করে থাকেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম আইনুল ইসলাম-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “এ বিষয়ে কোনো সাংবাদিকের সাথে কথা বলা যাবে না, আপনি ডিডি সাহেবের সাথে কথা বলতে পারবেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আ. আউয়াল জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদারকি করা হবে।”

উপরে