
বগুড়ার শেরপুরে “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিঁড়ি উদ্যোক্তা পাঠশালা” বিভাগীয় কমিশনার মো: নূর-উর রহমান বলেছেন, এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড মুক্ত “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিঁড়ি’র মূল অনুভুতি। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিক দেশী মুরগি পালন, পুষ্টির নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং নিরাপদ প্রাণি আমিষের (এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়ড মুক্ত) নিশ্চয়তার জন্য “স্বপ্ন ছোয়াঁর সিঁড়ি’র” অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সোমবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুরে “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিঁড়ি উদ্যোক্তা পাঠশালা” বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরী, হ্যাচারী, সিসি ক্যামেরায় নিয়তিন্ত্রত খামার পরিদর্শনকালে তিনি কথাগুলো বলেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান শাহ জামাল সিরাজী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত হোসেন, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমির হামজা, উদ্যোক্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন পিএএ ডাঃ মোঃ রায়হান, কামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন , উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ মমিনুর রহমানের সহ দেড়শতাধিক খামারি। এ সময় তারা খন্দকারটোলা, ধর্মকাম, শুভগাছা, শেরুয়া ও চকপাথালিয়া গ্রামের খামারগুলো পরিদর্শন করে বলেন, দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিক দেশী মুরগি চাষ একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সাথে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিক দেশী মুরগি চাষকে আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম হাতিয়ারে পরিণত করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার যে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তারই একটি নিদর্শন দেখিয়েছেন উদ্যোক্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন পিএএ ডাঃ মোঃ রায়হান । যেখানে শেরপুরে ৬০০ খামার আছে যা সম্পূর্ন স্টেরয়েড মুক্ত। এছাড়াও তারা গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের শেরুয়ায় একটি বাড়ী ও চকপাথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পরিদর্শন করেন।