ঘরে বসে মাসে কোটি টাকার জাল নোট বানাতেন রহিম-ফাতেমা দম্পতি | Daily Chandni Bazar ঘরে বসে মাসে কোটি টাকার জাল নোট বানাতেন রহিম-ফাতেমা দম্পতি | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২১ ১৬:১১
ঘরে বসে মাসে কোটি টাকার জাল নোট বানাতেন রহিম-ফাতেমা দম্পতি
অনলাইন ডেস্ক

ঘরে বসে মাসে কোটি টাকার জাল নোট বানাতেন রহিম-ফাতেমা দম্পতি

রাজধানীর বাড্ডায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানা খোলেন আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারা এই কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। সেখান থেকে মাসে কোটি টাকার জাল নোট তৈরি হতো। সম্প্রতি তাদের এসব কর্মকাণ্ডের গোপন তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ।

গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সোমবার (১২ জুলাই) বাড্ডার নুরেরচালা সাঈদ নগর এলাকার সেই বাসায় অভিযান চালায় ডিবি গুলশান।

অভিযানে এই চক্রের হোতা আব্দুর রহিম শেখ ও তার ফাতেমা বেগমসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতার বাকিরা হলেন- গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।

অভিযান শেষে ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি সাততলা বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির একটি ঘরোয়া কারখানা সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনে জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারখানাটি থেকে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট এবং বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করত। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার প্রতিমাসে কোটি কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়ত।’

ডিসি মশিউর বলেন, ‘গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে আসছিল। তবে প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম আরও বেড়ে যেত। গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসবের আগে আগে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছেড়েছে তারা।’

ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ফাতেমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকা তৈরির সময় অন্য এক সহযোগীসহ পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে সেবার তার স্বামী রহিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এর আগেও বেশ কয়েকবার জাল টাকা এবং মাদক কেনা-বেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারা গ্রেফতার হয়েছিলেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন