
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চুরির ভাগের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক হোটেল কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (২৫ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) মো. আলমগীর হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকার আলম সেখের ছেলে মো. ফিরোজ (২১) এবং সলঙ্গা থানার তারুটিয়া উত্তরপাড়ার শামসুল হকের মেয়ে জুলেখা খাতুন (২১)।
নিহত ব্যক্তি আরাফাত খান (৩৫), ফরিদপুরের কোতোয়ালি উপজেলার আলীপুর পাকিস্তানপাড়ার বাসিন্দা। তিনি সিরাজগঞ্জে একটি হোটেলে কর্মরত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন জানান, গত শুক্রবার সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পাশে সওজ অফিসের একটি পরিত্যক্ত ভবনের পেছন থেকে আরাফাত খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় জুলেখাকে।
ওসি একরামুল হোসাইন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজ পুলিশকে জানিয়েছে, একটি চুরির ঘটনায় পাওয়া টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা আরাফাত খানের কাছে পাওনা ছিল। সেই পাওনা আদায় করতে গিয়ে শুক্রবার রাতে হাটিকুমরুলে সওজ ভবনের পেছনে দেখা করে ফিরোজ। সেখানে আরও দুই সহযোগী ও যৌনকর্মী জুলেখাকে ২ হাজার টাকার চুক্তিতে সেখানে নিয়ে আসা হয়। টাকা চাইতে গেলে আরাফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজকে থাপ্পড় মারেন। এরপর ফিরোজ ও জুলেখা মিলে ইট দিয়ে আঘাত করে আরাফাতকে হত্যা করে।
রবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর দু’জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।