
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার। এ লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ায কাযমীর রহমান জানান, “চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে লবণ সরবরাহ, কসাইদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে সার্বিক মনিটরিংও করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, কসাইদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ এবং জবাই স্থানে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লবণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, চামড়া সংরক্ষণের জন্য উপজেলায় ৭ টন লবণ সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইয়াতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং-এ চাহিদামতো লবণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গরু বা মহিষের জন্য ৮ কেজি এবং ছাগলের জন্য ৪ কেজি লবণ বরাদ্দ করা হয়েছে।
পৌর এলাকাজুড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০০ কেজি ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহ করে জীবাণুনাশ কার্যক্রমের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদারদের চামড়া নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চামড়া পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি মূল্য
বগুড়া জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, ঈদের পরবর্তী ১০ দিন জেলার বাইরে কাঁচা চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
চলতি বছরের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত দামে:
ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৬০-৬৫ টাকা
ঢাকার বাইরে ৫৫-৬০ টাকা
কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য: ঢাকায় ১,৩৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা
খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেরপুর উপজেলায় বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং রয়েছে, যেগুলো কোরবানির চামড়া সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।