রাজশাহীতে দেশি গরুতে জমে উঠেছে হাট | Daily Chandni Bazar রাজশাহীতে দেশি গরুতে জমে উঠেছে হাট | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৫ জুন, ২০২৫ ০১:৪৮
রাজশাহীতে দেশি গরুতে জমে উঠেছে হাট
মোঃ ফয়সাল আলম, রাজশাহী

রাজশাহীতে দেশি গরুতে জমে উঠেছে হাট

কোরবানী ঈদের বাকী আর মাত্র দু'দিন। ইতোমধ্যেই রাজশাহীর পশু হাটগুলো জমে উঠেছে। দেশি গরুতে ভরা হাটে যেন ক্রেতারাও খুশি। দামও বেশ নাগালের মধ্যে। ক্রেতাদের কাছে মাঝারি সাইজের গরু বেশ পছন্দের।
রাজশাহী ও আশপাশের হাটগুলোর মধ্যে সিটি হাট, দামকুড়া হাট, তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ, বানেশ্বর, পুঠিয়া ও কাটাখালি হাট। পাশে নওগাঁর চৌবাড়িয়া হাটে গরু ও ছাগল কেনাবেচা জমে উঠেছে। ঈদ যতোই কাছে আসছে ততোই যেন জমে উঠছে কেনাবেচা। দুরের পাইকারি ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগ তাদের কেনাবেচা সেরে ফেলেছেন। এখন হাটে সাধারণ ক্রেতাদের বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মাঝারি সাইজের গরু। সাধারণত ৯০ থেকে ১৩০ কেজি ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। সাধারণ ক্রেতারা এসব গরু কিনছে বেশি। বড় ও ছোট গরুর চাহিদা তুলনামুলক কম।
৯০ থেকে ১৩০ কেজি ওজনের গরুগুলো দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত। ছোট সাইজের গরু ৭০ থেকে ৮৫ কেজি ওজনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। বড় সাইজের গরু ১৩০ থেকে ২০০ কেজি ওজনের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার পর্যন্ত। রাজশাহীর হাটগুলোতে বকনা, গাভী বা বলদ গরুর চেয়ে ষাঁড়ের চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশি।
রাজশাহী প্রাণি সম্পাদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, এ বছর রাজশাহী জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩টি গবাদি পশু যা জেলার চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে এ বছর প্রস্তুত করা হয়েছে মোট ৪৩ লাখ কোরবানির পশু, যেখানে চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখের মতো। ফলে এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৭ লাখ পশু অবশিষ্ট থাকবে।
রাজশাহী বিভাগের কোরবানির পশু উৎপাদন ও চাহিদার পরিসংখ্যান হচ্ছে, রাজশাহীতে চাহিদা ৩ লাখ ৮১ হাজার; উৎপাদন ৪ লাখ ৭৩ হাজার, নাটোরে চাহিদা ২ লাখ ৭৩ হাজার; উৎপাদন ৫ লাখ ১৪ হাজার, নওগাঁয় চাহিদা ৩ লাখ ৮৬ হাজার; উৎপাদন ৭ লাখ ৮৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদা ১ লাখ ৩৪ হাজার; উৎপাদন ২ লাখ, পাবনায় চাহিদা ৩ লাখ ১২ হাজার; উৎপাদন ৬ লাখ ৪৮ হাজার, সিরাজগঞ্জে চাহিদা ২ লাখ ৫৯ হাজার; উৎপাদন ৬ লাখ ৫৫ হাজার, বগুড়ায় চাহিদা ৭ লাখ ৯ হাজার; উৎপাদন ৭ লাখ ৪৬ হাজার, জয়পুরহাটে চাহিদা ১ লাখ ৯৭ হাজার; উৎপাদন ৩ লাখ ১৬ হাজার।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, হাটে ভারতের গরু নেই। স্থানীয় খামারীদের গরু হাটে উঠেছে। খামারিরা আগে থেকেই এসব গরু লালন পালন করেছেন।
তিনি আরো জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বাড়েনি। এতে খামারিদের কিছুটা লাভ কম হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বেশ খুশি।
রাজশাহী মহানগরীর শেখপাড়া এলাকার হাসান ইমাম শাহিন জানান, কয়েকদিন আগে তিনি চৌবাড়িয়া হাটে গিয়েছিলেন গরু কিনতে। ৮৫ হাজার টাকায় গাভী কিনেছেন।
তিনি আরো বলেন, হাটে গরুর দাম এবার সস্তা। বিশেষ করে গাভী ও বকনার দাম ষাঁড়ের তুলনায় কম।