ঈদ-উল-আযহার ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ফিরতি যাত্রায় ভিড় বেড়েছে, আর এরই মধ্যে বগুড়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই কর্মজীবী মানুষ তাদের কর্মস্থলে ফিরছে।

বগুড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. আব্দুর রশিদ জানান, ১৫ জুন থেকে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, যা তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনবে।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বেড়েছে। তবে দীর্ঘ ছুটির কারণে যানজট তুলনামূলকভাবে কম। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও তা ঈদ-উল-ফিতরের তুলনায় অনেক কম। হাইওয়ে পুলিশের ৮টি পেট্রোল টিম নিয়মিত টহল ও তদারকি করছে। কোথাও যানজট হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান জানান, “তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতাজনিত সমস্যা বেড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে গরমজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আগত রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি জনসাধারণকে পর্যাপ্ত পানি পান, খোলামেলা হালকা পোশাক পরিধান এবং রোদে সরাসরি চলাচল এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।