পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ’-এর ইনবক্সে গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি মেসেজ পাঠান এক নারী। ঢাকার কোতোয়ালী থানা এলাকায় তিনি একটি ভাড়া বাসায় স্বামী ও এক শিশুসন্তান নিয়ে থাকেন।

ওই নারী লেখেন, তার স্বামী কয়েকদিন আগে কোনো এক কাজে বাইরে বেরিয়েছেন, কিন্তু এখনও বাসায় ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাচ্ছেন তিনি। প্রচন্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন।

পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লালবাগ থানার ওসি এম আশরাফ উদ্দিনকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। একই সঙ্গে ওই নারীকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) রেকর্ড করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ শাহ আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই নারী দেয়া সম্ভাব্য সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার একাধিক স্থানে ওই নারীর স্বামীর অবস্থান নির্ণয় করা হয়। ঘন ঘন অবস্থান পাল্টাচ্ছিলেন তিনি।

মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের মধ্যস্থতা ও সার্বক্ষণিক সমন্বয়ের মাধ্যমে এসআই শেখ শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালায় এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর স্বামীকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই ব্যক্তির অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তাই নতুন প্রেমিকার টানে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে চলে যান তিনি। অবশেষে ওই নারী ও তার স্বামীর ইচ্ছা ও সহযোগিতায় এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এখন স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে রয়েছেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার  / সাজ্জাদ হোসাইন