প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২১ ০৯:৫৩

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বান মোদির

অনলাইন ডেস্ক
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বান মোদির

বাংলাদেশ-ভারতের নানা সম্ভাবনার মতো সন্ত্রাসবাদেরও সমান বিপদ রয়েছে, তা সতর্কতার সঙ্গে সংগঠিতভাবে মোকাবিলা করার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশেরই জন্য একবিংশ শতাব্দীর আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নেরও অংশীদার। আমরা লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, চ্যালেঞ্জগুলোও ভাগাভাগি করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বাণিজ্য ও শিল্পে যেখানে আমাদের জন্য একই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি সন্ত্রাসবাদেরও সমান বিপদ রয়েছে। এই জাতির অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) মুজিব শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব বিষয়ে কথা বলেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীও। আজ ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হচ্ছে । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করছে।

মোদি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটি গর্বের বিষয়- আমরা শেখ মুজিবকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করার সুযোগ পেয়েছি।

ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের সেই সব সন্তানদের স্মরণ করছি, যারা সোনার বাংলার জন্য অগণিত অত্যাচার সহ্য করেছেন, রক্ত দিয়েছেন এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। আজ আমি স্মরণ করছি, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের। স্মরণ করছি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, শিক্ষাবিদ রফিকউদ্দিন আহমেদ, ভাষাশহীদ সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার এবং শফিউরকে।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ভাই-বোনদের পাশে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই সাহসী সৈন্যদেরও প্রণাম জানাই। যারা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছিলেন, আত্মত্যাগ করেছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ, জেনারেল অরোরা, জেনারেল জ্যাকব, ল্যান্সনায়ক অ্যালবার্ট এক্কা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন চন্দন সিং, ক্যাপ্টেন মোহন নারায়ণ রাও সামন্তসহ এমন অনেক বীর রয়েছেন, যাদের নেতৃত্ব ও সাহসের কাহিনী আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশ সরকার এই বীরদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিসৌধ উৎসর্গ করেছে। আমি এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আনন্দিত, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক ভারতীয় সেনাও এখানে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন করে গ্রেফতার হয়েছিলাম’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখানকার তরুণ প্রজন্মের আমার ভাই-বোনদের খুব গর্বের সঙ্গে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়া আমার জীবনের প্রথম আন্দোলনগুলোর মধ্যে একটি ছিল। আমার বয়স তখন ২২-২৩ বছর, যখন আমি ও আমার অনেক সহকর্মী বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন করায় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম এবং কারাগারেও গিয়েছিলাম। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতটা আকুলতা এখানে ছিল ততটা আকুলতা সেখানেও ছিল। এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত জঘন্য অপরাধ ও নৃশংসতার চিত্রগুলো আমাদের রক্ত গরম করে দিত এবং রাতের পর রাত বিনিদ্র করে রাখত।

মোদি বলেন, গোবিন্দ হালদারজি বলেছেন- ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না, আমরা তোমাদের ভুলব না’। অর্থাৎ যারা তাদের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন, আমরা তাদের ভুলব না।

‘গণহত্যা নিয়ে বিশ্বের যতটা সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি’

২৫ মার্চসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে ভারতের সরকার প্রধান বলেন, একটি স্বৈরাচারী সরকার তার নিজস্ব নাগরিকদের গণহত্যা করছিল। তাদের ভাষা, তাদের কণ্ঠস্বর ও পরিচয়কে চূর্ণ করছিল। অপারেশন সার্চলাইটের নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের যতটা সোচ্চার হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি। এত কিছুর মাঝেও এখানে ও আমাদের ভারতীয়দের জন্য আশার এক কিরণ দেখা গেল- তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সাহস ও তার নেতৃত্ব এটা নিশ্চিত করেছিল, কোনো শক্তিই বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

এবারের সংগ্রাম মুক্তির জন্য, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার জন্য। তার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ, কৃষক, যুবক, শিক্ষক ও শ্রমিক সবাই এক হয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করে। তাই আজকের এই দিনটি মুজিববর্ষ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, তার আদর্শ ও সাহসকে স্মরণ করার জন্যও আদর্শ একটি দিন। আজকের এই সময় চির বিদ্রোহী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আবার স্মরণ করার সময়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে আজও এ কথা স্মরণ করা হয়- পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম ভারতে এসেছিলেন। দিল্লিতে দেয়া তার ভাষণের কথা অনেক মানুষের মুখে শোনা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মবলিদান নিয়ে বঙ্গবন্ধু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, তার চোখ অশ্রুতে ভরে গিয়েছিল। ওই অশ্রুপাত ভারত-বাংলাদেশের আন্তরিক সম্পর্কের প্রতীক ছিল, আমাদের সম্পর্কের সাক্ষী ছিল। জীবনভর বঙ্গবন্ধুর সেই অশ্রু সেই ভাবনাকে লালন করাই আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এ বছর ২৬ জানুয়ারি ভারতের গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী কন্টিনজেন্ট কর্তৃক ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে...’ সংগীতের সঙ্গে দলগত পরিবেশনার কথা আমার মনে আছে। ভারত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এই রকমই সম্প্রীতিপূর্ণ, পারস্পরিক বিশ্বাসে ভরপুর অগণিত মুহূর্তের অপেক্ষা করছে।

‘লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, চ্যালেঞ্জগুলোও’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটি একটি আনন্দময় কাকতালীয় ঘটনা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর একসঙ্গে পড়েছে। আমাদের উভয় দেশেরই জন্য একবিংশ শতাব্দীর আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নেরও অংশীদার। আমরা লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, চ্যালেঞ্জগুলোও ভাগাভাগি করি।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- বাণিজ্য ও শিল্পে যেখানে আমাদের জন্য একই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি সন্ত্রাসবাদেরও সমান বিপদ রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে।

প্রতিবেশী দেশের এই সরকার প্রধান বলেন, আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান জরুরি। আর এজন্য আজ ভারত আর বাংলাদেশ দুটি দেশের সরকারই এই সংবেদনশীলতা উপলব্ধি করছে আর সেদিকেই অর্থবহ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

‘আমরা প্রমাণ করেছি, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা থাকলে সব সমস্যারই সমাধান করা যায়। আমাদের স্থল সীমান্ত চুক্তি এর সাক্ষী। করোনার এই দুঃসময়েও দুটি দেশের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রয়েছে। আমরা সার্ক কোভিড তহবিল গঠনে সহযোগিতা করেছি, নিজেদের মানবসম্পদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছি। ভারত খুবই আনন্দিত, ভারতের তৈরি টিকাগুলো বাংলাদেশের ভাই-বোনদের কাজে লাগছে।

৫০ তরুণকে ভারতে আমন্ত্রণ মোদির

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করার জন্য দুটি দেশেরই তরুণদের মধ্যে আরও উন্নত যোগাযোগ সমান প্রয়োজনীয়। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের ৫০ তরুণ উদ্যোক্তাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাতে চাই। ভারতে আসুন, আমাদের স্টার্ট-আপ আর ইকোসিস্টেম উদ্ভাবনে যোগ দিন, পুঁজিপতি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দেখা করুন। আমরাও তাদের কাছ থেকে শিখবো, তারাও শেখার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি আমি বাংলাদেশি যুবকদের জন্য সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি ঘোষণা করছি।

মোদি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশ ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই টিকে থাকবে, বাংলাকে দাবিয়ে রাখতে পারে, এমন কোনো শক্তি নেই’। বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার মতো ক্ষমতা কারো নেই। বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরোধিতাকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল এবং বাংলাদেশের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাসও ছিল।

তিনি বলেন, আমি আনন্দিত, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে তার সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। যারা বাংলাদেশ গঠনে আপত্তি করছিলেন, যারা এখানকার মানুষকে নিচু চোখে দেখতেন, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, বাংলাদেশ তাদের ভুল প্রমাণ করছে।

‘লক্ষ্য এক, প্রচেষ্টাও এক হওয়া উচিত’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে রয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম ও গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অভিন্ন ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণা। গুরুদেব বলেছেন, কাল নাই আমাদের হাতে; কাড়াকাড়ি করে তাই সবে মিলে দেরি কারো নাহি সহে কভু অর্থাৎ আমাদের অপচয় করার মতন সময় নেই, পরিবর্তনের জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, এখন আর দেরি করা যায় না। এটি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। দুই দেশের লাখ লাখ মানুষের জন্য, তাদের ভবিষ্যতের জন্য, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের জন্য, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, আমাদের লক্ষ্য এক। তাই আমাদের প্রচেষ্টাও এক হওয়া উচিত। অতএব, আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে, নতুন মাত্রা দিতে হবে, নতুন উচ্চতায় নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ভারত ও বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে একসঙ্গে অগ্রগতি করবে।

বক্তব্য দেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া গান্ধী শান্তি পুরস্কার হস্তান্তর করেন। মোদির হাত থেকে পুরস্কার নেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

প্রসঙ্গত, ২২ মার্চ ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর এই পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান আয়োজনের মুখ্য সমন্বয়ক কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে