শ্রম খাতের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন

শ্রম খাতের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন করেছে সরকার। সম্প্রতি পরিষদ পুনর্গঠন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ গঠন করা হয়েছিল।
পুনর্গঠিত পরিষদের সভাপতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) বা যুগ্ম সচিব (শ্রম) পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনর্গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ থেকে একজন করে মোট তিনজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবে। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতিরা পর্যায়ক্রমে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
সদস্য সচিব সভাপতির অনুমোদন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ যেসব সমস্যার সম্মুখীন সেই সমস্যা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও ওয়াকিবহাল এমন যেকোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে অধিবেশনে উপস্থিত হওয়া এবং আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন।
ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ সাধারণত বছরে দুবার মিলিত হবে কিন্তু সভাপতি প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় জরুরি অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন। সভাপতি সময় ও স্থান সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই সময়ে ও স্থানে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ মিলিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ যেসব কাজ করবে :
মালিক ও শ্রমিক সমিতিগুলোর দেয়া পরামর্শ বিবেচনা করে শ্রমক্ষেত্রে আইন, বিধি, নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সাহায্য, সহায়তা ও পরামর্শ দেবে। দেশের বিদ্যমান সম্পদ এবং সরকারের সার্বিক আর্থসামাজিক লক্ষ্য বিবেচনা করে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে পরামর্শ দেবে পরিষদ।
পরিষদের কাছে পরামর্শের জন্য উপস্থাপিত যেকোনো বিষয়ে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে সরকারকে সাহায্য ও পরামর্শ দেবে। শ্রম সমস্যা সম্পর্কে সাধারণভাবে সরকারকে অবহিত, শিশুশ্রম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাবলী পর্যালোচনা ও সরকারকে পরামর্শ এবং বিদ্যমান সম্পদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ব্যবহার দিয়ে কিভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেবে পরিষদ। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রমমান পর্যালোচনা করবে ত্রিপক্ষীয় পরিষদ।
সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ বহাল থাকবে। ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম শাখা সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন