বগুড়া পৌরসভার ৪'শ ২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

বগুড়া পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ৪’শ ২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৪ টাকা। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই বাজেট ঘোষণা করা হয়।
বগুড়া পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ প্রধান অতিথি হিসেবে বাজেট ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, "১৪৯ বছরের পুরনো বগুড়া পৌরসভা দেশের অন্যতম প্রাচীন পৌরসভা। যদিও এটি দেশের সর্ববৃহৎ পৌরসভাগুলোর মধ্যে একটি, তবুও বগুড়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত সরকারি বরাদ্দের অভাবের কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এবারের বাজেটে সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি পাবে এমনটি আশা করা হচ্ছে।"
তিনি আরো বলেন, "এই বাজেটে পৌরসভার বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য বর্ধন, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, ফুটপাত নির্মাণ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তা আলোকিতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা, মশক নিধনসহ নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বগুড়াকে একটি আধুনিক ও উন্নত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।"
বাজেট ঘোষণার সময় পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলমনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এ সময় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটের বিস্তারিত:
ঘোষিত ৪’শ ২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৪ টাকার বাজেটের মধ্যে রাজস্ব খাতে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৯ টাকা, সম্ভাব্য ব্যয় ৮১ কোটি ৭৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং উদ্বৃত্ত ৬ কোটি ৭১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯ টাকা।
পানি সরবরাহ খাতে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৬৩৫ টাকা, ব্যয় ১ কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৬৩৫ টাকা। এডিপি খাতে সম্ভাব্য আয়-ব্যয় ৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, আরইউটিডিপি, কোভিড-১৯, বগুড়া পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ও বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য আয়-ব্যয় ধরা হয়েছে ৩’শ ৫ কোটি টাকা।
নাগরিকদের পরামর্শ:
বাজেট ঘোষণার সময় উপস্থিত নাগরিকরা শহরের যানজট নিরসনে স্কুল বাসের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণ, শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য রাখার স্থানগুলোকে আবদ্ধ করার এবং গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকহারে বৃত্তি প্রদানের পরামর্শ দেন।