প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২৫ ০২:৪৩

রায়গঞ্জ বাজারে নাকে রুমাল! কোয়েল খামারের দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগ

দুর্গন্ধ ও ব্যবসায়িক ক্ষতির অভিযোগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
উপজেলা সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
রায়গঞ্জ বাজারে নাকে রুমাল! কোয়েল খামারের দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা বাজার এলাকায় কোয়েল পাখির খামারের তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী, পথচারী ও সাধারণ এলাকাবাসী। শুধু দুর্গন্ধ নয়—বিতর্কিত জমিতে খামার স্থাপন নিয়েও উঠেছে দখলের অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, ঘুড়কা বাজারের চাউল পট্টি এলাকায় একটি জমিতে আগে চা স্টল ছিল। বর্তমানে সেখানে আমিরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি কোয়েল পাখির খামার স্থাপন করেছেন। খামারের বর্জ্য ও খাদ্যের তীব্র দুর্গন্ধের কারণে ব্যবসা পরিচালনায় মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন দোকানিরা।

চাউল ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল আওয়াল, মোহাব্বত, পরেশ, হালিম, নাসিরসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, "অতিরিক্ত দুর্গন্ধে দোকানে কাস্টমার আসে না, বিক্রি বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাজার কমিটির মাধ্যমে আমরা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম খামার সরাতে, কিন্তু প্রতিপক্ষ মানছে না।"

পথচারী ও শিক্ষার্থীরাও বলেন, খামারটির পাশ দিয়ে চলাফেরা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। নাক চেপে বা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলাচল করতে হয়। অনেকেই কোয়েল পাখির বিষ্ঠা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকে এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এছাড়া মো. ইয়াকুব আলী নয়ন, পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিত্র তেঘুরী গ্রামের বাসিন্দা, দাবি করেন, “ঘুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং তার ভাই আমিরুল ইসলাম ও সেলিম আমার ক্রয়কৃত জমি জোর করে দখলে নিয়েছে। রাতের আঁধারে দোকান ঘর বেদখল করে সেখানে খামার বসিয়েছে, যার দুর্গন্ধে পুরো বাজার দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “জমির বিষয়টি আমার ভাইয়েরা জানেন, মামলা কোর্টে চলমান। তবে কোয়েল পাখির খামার সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।”

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

উপরে