প্রকাশিত : ৫ জুলাই, ২০২৫ ০২:০৬

কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যুবদল নেতাসহ ৪জনের নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় 
যুবদল নেতাসহ ৪জনের নামে মামলা
কুড়িগ্রাম সদরে পূর্ব বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় যুবদল নেতা এরশাদুল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) কুড়িগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে বিচারকের আদেশে গত ২ জুন মামলাটি থানায় রেকর্ড করেন ওসি। চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৯মে সদরের নাজিরা সরকারপাড়া এলাকার জনৈক আলম মিয়ার পতিত জমিতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মামলার আসামিরা হলেন- কুড়িগ্রাম সদরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদুল হক (৩৫), একই এলাকার আসিফ আলী (২৫), রানা মিয়া (২৫) এবং মেহেদী হাসান (২০)। মামলার বাদী কাজলী আক্তার খুশি (৩০) ওই এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিদের সঙ্গে মামলার বাদীর পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন ১৯ মে বেলা সাড়ে ১১টায় কাজলী আক্তার খুশির দেবর আব্দুল হান্নান কুড়িগ্রাম পৌর বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ির পাশে জনৈক আলম মিয়ার পতিত জমিতে পৌঁছামাত্রই (যুবদল নেতা) এরশাদুলের নেতৃত্বে আসামিরা হাতে লাঠি, লোহার রড, কুড়াল, ছোড়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হান্নানের পথরোধ করে। কুড়াল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে গুরুত্বর কাটা-রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে বাঁচাতে বড় ভাই হাফিজুর রহমান (মামলার বাদীর স্বামী) ও মা হাছনা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পেটানোসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। গৃহবধূ খুশি ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারপিট এবং শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে আসামিরা। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে হান্নান ও তার ভাই হাফিজুরকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। মামলার বাদী খুশি ও তার শাশুড়ি হাছনা বেগম রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ত্রাসী হামলায় আহত আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে যুবদল নেতাসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ওসি আমলে নেননি উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কাজলী আক্তার খুশি।
উপরে