রায়গঞ্জে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত তোজাম্মেলের মানবেতর জীবন, সাহায্যের অপেক্ষায় অসহায় পরিবার

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে ছোট্ট একটি জরাজীর্ণ টিনের ছাপড়া ঘরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হতদরিদ্র তোজাম্মেল হক (৫০)।
চার বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণরূপে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে বিছানায় দিন কাটছে তার। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে তার ১৩ বছর বয়সী ছেলে, যে স্থানীয় করাত কলে দৈনিক ২০০ টাকা মজুরিতে কাজ করে।
তোজাম্মেল হকের স্ত্রী জহুরা বেগম (৪২) জানান, স্বামীর অসুস্থতার পর থেকে পরিবারটি চরম দারিদ্র্য আর দুর্ভোগে দিন পার করছে। কখনো খাবার জোটে, কখনো উপোস থাকতে হয়। সরকারি সাহায্যের জন্য বহুবার চেষ্টা করেও কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন,
“ভোটের সময় মেম্বার-চেয়ারম্যানরা আশ্বাস দেয়, কিন্তু ভোটের পর আর কারো দেখা মেলে না। ঘরের জন্য বহু জায়গায় ঘুরেছি, কেউ গুরুত্ব দেয়নি। আমাদের একটাই চাওয়া—একটা হুইল চেয়ার, কিছু খাবার আর ছোটখাটো একটা কর্মসংস্থান।”
তাদের বড় ছেলে খোঁজ না নিলেও ছোট ছেলে এবং তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে নিয়েই পরিবারটিকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জহুরা বেগম।
স্থানীয় শিক্ষার্থী আবু জাফর, সৌরভ তালুকদার ও রাসেল জানান,
“তোজাম্মেল হক এবং তার পরিবার ঘোর অসহায়ত্বে দিন পার করছে। সরকার বা কোনো দানশীল ব্যক্তি যদি একটি ঘর, হুইল চেয়ার, খাদ্যসামগ্রী এবং একটি আয়বর্ধক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে পরিবারটি কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারবে।”
প্রশাসনের আশ্বাস
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হাসান শেখ জানান,
“অসহায় তোজাম্মেল হকের বিষয়টি আমাদের জানা আছে। তাকে খুব শিগগিরই প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেওয়া হবে। তিনি আবেদন করলে সরকারি অর্থ সহায়তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা করা হবে।”
???? উল্লেখযোগ্য অনুরোধসমূহ:
হুইল চেয়ার
খাদ্য সামগ্রী
একটি টিনের ঘর
একটি আয়বর্ধক কর্মসংস্থানের সুযোগ
সবার প্রতি আহ্বান:
তোজাম্মেল হকের মতো হাজারো অসহায় মানুষ প্রতিদিন জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন। সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো যাচ্ছে।