প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫ ০২:৩০

রাণীনগরে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

উপজেলা সংবাদদাতা, রাণীনগর, নওগাঁ
রাণীনগরে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

নওগাঁর রাণীনগরে তামান্না আক্তার (৮) নামে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চলছে নানান জল্পনা কল্পনা। কেউ বলছে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, আবার কেউ বলছে শিশুটি বালতির পানিতে পরে মারা গেছে। বুধবার উপজেলার গুয়াতা মৃধাপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় রাণীনগর থানা পুলিশ শিশুটির লাশ (মরদেহ) উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। শিশু তামান্না আক্তার ওই গ্রামের প্রবাসী রাজন মৃধার মেয়ে।

শিশুর মা সানজিদা আক্তার জানান, বুধবার সকাল অনুমানিক ১০টার দিকে শিশু তামান্নাকে বাড়িতে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাই। এর কিছু পর বাড়িতে এসে তামান্নাকে খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশীরদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। এরপর বাড়ির মধ্যে গোসলখানায় গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৩০ লিটার পরিমান পানি ধারণ ক্ষমতা সস্পন্ন বালতির পানির মধ্যে উপর হয়ে পরে আছে তামান্না। তিনি দাবি করে বলেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট ছিল। খেলার সময় হয়তো বালতির মধ্যে পরে মারা গেছে।

এদিকে শিশুর দাদা এরশাদ আলী দাবি করে বলেন, তামান্না স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। এত বড় শিশু বালতির পানিতে পরে ডুবে মারা যেতে পারেনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালে তামান্নার মা সানজিদা আক্তারের সাথে প্রতিবেশী এরশাদ আলীর ছেলে রাজনের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। সানজিদা ওই গ্রামের সাজ্জাদ আলীর মেয়ে। এরপর ২০১৭ সালে তামান্না মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় পিতা রাজন মালোয়েশিয়া চলে যান। তামান্নার জন্মের পর পারিবারিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় গত ২০২০ সালে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে শিশু তামান্না মায়ের কাছেই ছিলেন।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উপরে