প্রকাশিত : ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৯

সেন্ট মার্টিনে ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ ২০২৫

ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১,৮৫০ কেজি বর্জ্য অপসারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সেন্ট মার্টিনে ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ ২০২৫

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ (কেবি)-এর যৌথ আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে পরিবেশ–সংবেদনশীল উপকূলীয় অঞ্চল সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। শনিবার [৮ ডিসেম্বর] অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় কমিউনিটি থেকে আগত প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক

অভিযানে সেন্ট মার্টিনের সৈকত থেকে ১,৮৫০ কিলোগ্রাম সমুদ্রবর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। খাদ্যের মোড়ক, প্লাস্টিক বোতল, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, প্লাস্টিক ব্যাগ এবং পরিত্যক্ত মাছ ধরার জালের মতো নানান বিপজ্জনক বর্জ্য নিরাপদভাবে মূল ভূখণ্ডে এনে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে অপসারণ করা হয়।

পরিবেশ সচেতনতা ও দায়িত্বশীল পর্যটন—এ বছরের মূল বার্তা

পর্যটন মৌসুম শুরুর প্রথম সপ্তাহান্তে আয়োজন করায় সচেতনতা বিস্তারে সাড়া ফেলে কার্যক্রমটি। স্বেচ্ছাসেবকেরা পর্যটকদের দায়িত্বশীল আচরণে উৎসাহিত করা, প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা, দীর্ঘমেয়াদি আচরণগত পরিবর্তন—এসব বিষয়ে মাইক্রো সেশন ও কমিউনিটি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এতে স্থানীয়দের পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আরও দৃঢ় হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।

কেওক্রাডং বাংলাদেশের ১৫ বছরের ধারাবাহিকতা

ওশান কনসারভেন্সির বাংলাদেশ সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে গত ১৫ বছর ধরে কেওক্রাডং বাংলাদেশ সমুদ্রবর্জ্য অপসারণ ও বৈশ্বিক মেরিন ডেব্রিস ডাটাবেজে তথ্য সংযোজন করে আসছে। কক্সবাজার–টেকনাফ উপদ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনে তাদের ধারাবাহিক উদ্যোগ দেশের সামুদ্রিক দূষণ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইউনিলিভারের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রগামী ভূমিকা

ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বৃহৎ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ভার্জিন প্লাস্টিক কমানো, রিফিল সল্যুশন ও পুনর্ব্যবহারবান্ধব প্যাকেজিং নকশা—এসব উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানটি নিয়োজিত। পাশাপাশি ভোক্তা সচেতনতায় সারা দেশে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স–এর পরিচালক শামিমা আক্তার বলেন—
“বাজারে আমরা যত প্লাস্টিক দিচ্ছি, তার চেয়ে বেশি প্লাস্টিক পরিবেশ থেকে অপসারণে কাজ করছি। সেন্ট মার্টিনের নাজুক ইকোসিস্টেম রক্ষা এবং প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় তরুণ ও স্থানীয়দের যুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”

“সেন্ট মার্টিন জাতীয় সম্পদ—এটিকে সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে”

ওশান কনসারভেন্সির ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন বলেন—
“বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপের দেশ; সেন্ট মার্টিন আমাদের জাতীয় সম্পদের একটি। সামাজিক–অর্থনৈতিক চাপ এই দ্বীপের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলছে। ইউনিলিভারের অংশগ্রহণ এ ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ভূমিকা রাখবে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করবে।”

উপরে