হাঁসেই সফলতার স্বপ্ন দেখছেন দুপচাঁচিয়ার বাবু
সমগ্র খামার জুড়ে হাঁসের পদচারণা, ডাকাডাকি আর প্রাণবন্ত ছোটাছুটিতে মুখর চারপাশ। কখনও ডাঙ্গায় আবার কখনও বা পুকুরের পানিতে হাঁসের বিচরণ দৃশ্যটি বেশ মনোমুগ্ধকর। প্রতিদিন সকালে ডিম সংগ্রহে ব্যবস্থ হয়ে উঠেন খামারি বাবলু হোসেন বাবু ও তার স্ত্রী আরিফা বেগম।
বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার দেবখন্ড চকপাড়া গ্রামের মৃত মোকলেছার রহমানের ছেলে বাবলু হোসেন বাবু ও তার স্ত্রী আরিফা বেগম এ হাঁস পালন করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বাবু একসময় পায়ে প্যাডেল চালিত ভ্যান চালাত ও চাষাবাদ করত। এর পর তিনি বিদেশ যান। বিদেশ থাকাকালীন সময়ে তার স্ত্রী আরিফা প্রায় ৩শ ক্যাম্পবেল জাতীয় হাঁস পালন শুরু করেন। এতে কিছুটা বাড়তি অর্থের মুখ দেখতে পায় তার পরিবার। দীর্ঘ ৯ বছর বিদেশ থাকার পর দেশে ফিরে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নেন হাঁসের খামার দিবেন। তার ছেলে ইউটিউব দেখে হাঁস পালনের ইচ্ছে পোষণ করেন। অবশেষে পারিবাকি ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি তার বসত বাড়ী থেকে সামান্য দূরে হাঁসের খামার দেন। হাঁস থাকার সেড ও বিচরণ করার জন্য সেড সংলগ্ন পুকুর খনন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে জুনমাসে তিনি ২হাজার পিচ ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে এ হাঁসের বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ডিম দেওয়া শুরু করেছে। সবেমাত্র ১শ৮০ হতে ১শ৯০টি ডিম প্রতিদিন খামার হতে সংগ্রহ করছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩শ হাঁস ৪শ৫০ টাকা হতে ৬শ টাকা পিচ দরে বিক্রয় করেছেন। প্রতিদিন এ হাঁস গুলোকে গড়ে প্রায় ৮ হাজার টাকার খাদ্য খাওয়াতে হচ্ছে। খামারের শুরুতেই ক্যাম্পবেল জাতের ২ হাজার হাঁসের বাচ্চা ক্রয়, সেড তৈরি. পুকুর খনন, খাবার ও হাঁসের চিকিৎসা সহ ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন।
একান্ত আলাপচারিতায় খামারি বাবলু হোসেন বাবু জানান, এ হাঁসের খামার দেওয়ার পর হতে প্রাণী চিকিৎকদের পরামর্শ নিয়ে হাঁস পালন করছেন। তিনি আরও জানান, দিন যতই যাবে খামারে হাঁসের ডিমের সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাবে। খামারে এ প্রথম চালানে হাঁসের তেমন কোন রোগ না হলে ডিম ও হাঁস বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল হক খন্দকার হান্নান বলেন, বাবুর হাঁসের খামারে প্রচুর হাঁস রয়েছে জায়গাও রয়েছে অনেক। তার খামারে গেলে হাঁসের বিচরণের দৃশ্যটি খুবই ভালো লাগে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোনামী রহমান ঊর্মি বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে বাবলু হোসেন খামারি হিসাবে নিবন্ধন করেননি। তার পরেও বিষয়টি যখন জানলাম তখন তার খামারটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা করবো।
