গণপিটুনি খেয়ে অনাবিলের সেই বাসচালক ঢামেকে | Daily Chandni Bazar গণপিটুনি খেয়ে অনাবিলের সেই বাসচালক ঢামেকে | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ১০:৫৯
গণপিটুনি খেয়ে অনাবিলের সেই বাসচালক ঢামেকে
অনলাইন ডেস্ক

গণপিটুনি খেয়ে অনাবিলের সেই বাসচালক ঢামেকে

রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই বাসের চালককে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। আহত বাসচালকের নাম মো. সোহেল (৩৫)।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে রামপুরা থানা পুলিশ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন বলেন, শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসের চালককে গণধোলাই দেয় জনতা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

এদিকে ঘটনার পর ঘাতক বাসের চালক সোহেলকে আটক করা হয়েছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানায় পুলিশ।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ বলেন, ঘটনার পর চালক পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।

এর আগে রাত ১১টার দিকে রামপুরা বাজারের কাছে শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিনকে চাপা দেয় অনাবিলের বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা ৮টি বাসে আগুন দেয়। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মাঈনুদ্দিনের সহপাঠীরা। তারা এর বিচার দাবি করে।

ছেলেটির স্কুলের খাতায় নাম মঈন ইসলাম। রামপুরার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে। পড়াশোনা শেষ করে প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা হতে চেয়েছিল। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাঈনুদ্দিন সবার ছোট। বড় ভাই মনির ছোট একটি চাকরি করেন। মূলত সংসার চলে বাবার টিনের ছোট্ট চায়ের দোকানের আয় থেকেই। বড় ভাই ভালো কিছু না করার কারণে এ সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল সে।

কিন্তু তার আগে মাঈনুদ্দিনের প্রাণ কেড়ে নেয় বাস। রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হয় সে।

রিপন মিয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে পূর্ব পাশে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। অনাবিল ও রাইদা পরিবহনের দুটি বাস প্রতিযোগিতা করছিল। অনাবিল বাসটি মাইনুদ্দিনকে চাপা দেয়।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন