সোনাতলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বালু উত্তোলনের অবৈধ ৭টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, সাত জনের ১ মাস করে কারাদণ্ড | Daily Chandni Bazar সোনাতলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বালু উত্তোলনের অবৈধ ৭টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, সাত জনের ১ মাস করে কারাদণ্ড | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২৫ ০১:৫৪
সোনাতলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বালু উত্তোলনের অবৈধ ৭টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, সাত জনের ১ মাস করে কারাদণ্ড
উপজেলা সংবাদদাতা, সোনাতলা, বগুড়া ঃ

সোনাতলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বালু উত্তোলনের অবৈধ ৭টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস, সাত জনের ১ মাস করে কারাদণ্ড

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৭টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে এবং অভিযুক্ত ৭ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে।

অভিযান ও আটককৃতরা

বুধবার (০২ জুলাই ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে বিশ্বনাথপুর বাঙালি নদীতে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে আটক ৭ জনের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ)১৫(১) ধারায় এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন:

মোস্তাফিজুর রহমান (৫২), শালিখা গ্রামের রজব আলীর ছেলে

তনু (১৮), সাঘাটা উপজেলার বাজিতনগর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে

জাকিরুল ইসলাম (২৮), বিশ্বনাথপুর গ্রামের ফরিদ আকন্দের ছেলে

আব্দুল মমিন (২২), গাবতলি উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে

শাহ আলম (৩৫), বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে

শাহ আলম (৩৫), শালিখা গ্রামের চাঁদ মিয়ার ছেলে

মোনজার রহমান (৪০), সাঘাটা উপজেলার পূর্ব কামারপাড়া গ্রামের অক্ষব আলীর ছেলে

অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাহিনী

অভিযানটি পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিলাদুন নবী, এসআই শামীমসহ সঙ্গীয় ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর অফিসার আরাফাত রহমান, আবু নছর সহ অন্যান্য সেনা সদস্যরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র বক্তব্য

অভিযান পরিচালনা শেষে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, “নদী আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ ও সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করার জন্য আমরা কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেব। যারা এই সম্পদকে নষ্ট করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের উদ্বেগ

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বাঙালি নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, যার ফলে নদীভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আড়িয়াঘাট ব্রিজ ও এর সংলগ্ন আবাসিক গুচ্ছ গ্রাম এবং নদীর জীববৈচিত্রও হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের বাধা দিলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।