সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগ | Daily Chandni Bazar
logo
প্রকাশিত : ৪ জুলাই, ২০২৫ ১১:৫২
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগ
শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা
নীলফামারী সংবাদদাতা

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগ

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রধান ফটক। ছবি- সংবাদদাতা

দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে আভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বছর ৬০ ঘণ্টা ইন হাউস প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে গত বছর, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মাত্র ১০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও, বরাদ্দের প্রায় ৫০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে।

প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট খরচের জন্য শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ৫০০ টাকা ভাতা, ৫০০ টাকা দুপুরের খাওয়া এবং ৮০ টাকা দুই বেলা নাস্তার জন্য বরাদ্দ ছিল। গত অর্থবছরে ৬০০ শ্রমিক কর্মচারী প্রশিক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত হলেও, খরচ হয়েছিল মাত্র ৮ লাখ টাকার কাছাকাছি এবং অবশিষ্ট ১২ লাখ টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ গত ১৫ জুন ব্যাংক থেকে পুরো বরাদ্দ তুলে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় শ্রমিক নেতারা জানান, এই ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তাদের খাবার ও নাস্তা বাবদ বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকরা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ দফায় দফায় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে গেলে, শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ বলেন, "খাওয়া এবং নাস্তার টাকা আমার কাছে রয়েছে এবং তা দিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য খাওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।" তার মতে, "অস্থায়ী শ্রমিকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে, তাই তাদেরকেও অন্তত খাওয়ার সুযোগ দিতে চেয়েছি।"

এদিকে, স্থানীয় রেল শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতা শ্রমিকদের ক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢালতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।