মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাবতলী উপজেলার উনচুরখী গ্রামের মৃত দুদু মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। রোববার বেলা বারোটায় প্রেসক্লাবে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
“আমরা তিন ভাই ও তিন বোন। আমি ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। বাবা জীবিত থাকাকালে তিন ছেলেকে ৮৩ শতক করে জমি এবং দুই বোনকে ৩০ শতক করে, এক বোনকে ২০ শতক জমি লিখে দিয়ে যান। বাবা মারা যাওয়ার পর পারিবারিক বৈঠকে বোনেরা তাদের সম্পত্তির অংশ বাজারমূল্যে ভাইদের নামে লিখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে এক বোন মোছা. জোবেদা খাতুন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তার অংশ লিখে দিলেও অন্য দুই বোন—পারুল খাতুন ও রিনি বেগম—সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।”
তিনি আরও বলেন,
“পরে দুই বোন জানান তারা আর টাকা নেবে না এবং তাদের অংশ আলাদা করে দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমরা তাদের অংশ দাগ অনুযায়ী আলাদা করে দিই এবং বাকি জমিতে আমরা ধান রোপণ করি। কিন্তু তারা গোপনে মাত্র ৫টি দাগে মোট ৫৬ শতক জমি খারিজ করে নেয়। পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর দুপুরে তারা ১০–১২ জনের একটি দল নিয়ে খারিজকৃত জমির ধান কাটতে আসে। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের সাত দিনের মধ্যে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন,
“ঘটনার দিনই আমরা গাবতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু তারা উল্টো আমাদের তিন ভাইসহ এলাকার বিচারকদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকিও দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমরা পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“আমাদের বোনদের উসকে দিয়ে বিপথগামী করছে একই গ্রামের হায়দারুল্লাহ আকন্দের ছেলে আবু হাবিব আকন্দ। সেও বাবার কাছ থেকে একটি জমির অংশ অবৈধভাবে দাবি করছে। তার সাথে যোগ দিয়েই বোনেরা আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান।